আসবে না বন্ধু ………?

২০১২ সালের ঈদ উপলক্ষে মাধ্যমিক শিক্ষাজীবনের বন্ধুরা পুনর্মিলনী আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

আমাদের সহপাঠীদেরকে অবগত করার জন্য আমন্ত্রণপত্রটা ছিল এইরকমঃ

হে প্রিয় বন্ধু,

হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা নিও।

শ্রান্ত জীবনের গতিময়তার কিঞ্ছিৎ অবসরে সময় যখন স্মৃতি রোমন্থনের; মাধ্যনিক শিক্ষা জীবনের দুরন্ত-দুর্বার-উচ্ছ্বসিত নানা স্পর্ধিত ব্যতিক্রম বিশেষায়নের সেই ডানপিঠে দিনগুলোর কথা মনে পড়ে কি ??

অতীতের বন্ধুদের সাথে করা ছোটখাটো খুনসুটিগুলোর কথা নির্মিলিত-শূণ্য দৃষ্টিতে ভাবতে ভাবতে আকস্মিক সম্বিৎ ফিরে পেলে কি হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয় না সেই স্বর্নালী মুহুর্তগুলোতে ?

আসন্ন  ঈদের আনন্দকে বহুগুণে বর্ধিত করার প্রয়াসে আমরা একত্রিত হতে চাই সেই ভালবাসার স্মৃতি ঘেরা শিক্ষাঙ্গনে।

আমাদের এই  “স্মৃতির সন্ধানে মিলনমেলা”-তে তুমি নিশ্চয়ই আসবে।

আসবে না বন্ধু …………? ?

টেবিল নং 21 !

৭ অক্টোবর’১৩ রাত ২ ঃ ২৩ বাজছে এখন। কি যে একটা ভয়ঙ্কর – বিতৃষ্ণার অনুভুতি ভেতরটাকে অস্থির করে তুলেছে বলে বুঝাতে পারব না।

একটা হিন্দি মুভি দেখে শেষ করলাম এই মাত্র, নাম “টেবিল নং 21 “। এককথায় অসাধারণ একটা মুভি।

মুভিটার মূল ম্যাসেজটা হলো ‘Ragging is not a joke, it’s a CRIME!’

Image

আগে থেকেই র‍্যাগিং -কে অপছন্দ করতাম। আর আজকে ঘৃণাটা সর্বোচ্চে পৌছুলো। ধিক্কার জানাই সেই সমস্ত মনুষ্যত্ববোধহীন লোকদের যারা র‍্যাগিং-কে পরিণত করেছে প্রথায় – বিনোদনে।

স্মৃতির সন্ধানে

২৯ জুন ২০০৭, শুক্রবার।

আজকের সকালটা খুব ব্যস্তময়। কারণ আজ আমরা বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যাব। ০৭ টা ৫ মিনিটেই মামুন আমাদের বাসায় হাজির। ৮ টার মধ্যেই স্কুলে পৌঁছুতে হবে। খুব দ্রুত রেডি হচ্ছি।

মোক্তাদির আসতে দেরি করছিল, তাই আরিফকে পাঠালাম ওকে তাড়াতাড়ি নিয়ে আসতে। মোক্তাদির স্যার আসলেন অবশেষে।

গুঁড়ি-গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রিকশা নিয়ে রওয়ানা দিলাম। রিকশা একেবারে স্কুলের মাঠে নামিয়ে দিল। মোক্তাদির ভাঁড়া পরিশোধ করল (এটা ওকে দিয়েই বেশি করানো হতো)।

সোহাগ, লিজু, আয়শা, জেসমিন অপেক্ষা করছিল। একসাথে রওয়ানা করলাম। প্রথমে রিংকুদের বাসায় গেলাম। সময় কাটলো ভালোই। জেসমিন আমাকে পানি দিয়ে যৎসামান্য ভিজিয়ে দেয়। আমিও ঋণ পরিশোধে কিঞ্ছিৎ কৃপণতা না করিয়া ওকে আমার গ্লাসের অবশিষ্টাংশ শরবতটুকু দিয়ে ভিজিয়ে দিলাম।

সোহাগকেও ভিজালাম (ওর ও দোষ ছিল! )।

রিংকুদের বাসা থেকে বেরিয়ে আবার হাঁটার পালা। খোকনও যোগ হল আমাদের সাথে।

আয়শাদের বাসায় গেলাম। খুব মজা হল। ওর আপুটা খুব ভালো! 

অতঃপর লিজুদের বাসায় ঢুকতেই বৃষ্টি আমাদের উপর আঘাত হানিল। লিজুদের বাসায়ও অনেক মজা হল। মনে মনে ভেবেছিলাম ওর আম্মু অনেক রাগী হবে। কিন্তু না, উনি বেশ ভালো। আলিফও (লিজুর ছোট ভাই) খুব সুন্দর করে কথা বলে।

বিদায় নিলাম, আমাদের বাসায় ফেরার পালা। পথের মধ্যে আমি, মামুন এবং খোকন …………………… জন্য খুব সমস্যায় ভুগছিলাম। মামুন পাইলটফার্ম বাসস্ট্যান্ডেই ওর সমস্যার প্রখরতার নিস্পত্তি ঘটাল। কিন্তু আমি আর খোকন তৎসঙ্গে সোহাগ পথের একটু দুরেই ম্যাগজিন খালি করলাম।

অবশেষে দুপুর ২ টায় বৃষ্টিস্নাত হয়ে বাসায় ফিরলাম।

ওহ! একটা কথা বলা হয়নি। লিজু আমাদের সবাইকে ডায়েরির একটি করে পাতা উপহার দিয়েছিল ওকে কিছু লিখে দেয়ার জন্য। আমিও লিখলাম……………………!

 

গ্রীন চিলড্রেন বৃত্তি

৮ জুন ২০০৭, চট্টগ্রাম থেকে পারিবারিক ভ্রমণ শেষে আমি আর আম্মু পানছড়ি এসেছি।

ঘরে প্রবেশ করে দেখলাম মানিক ভাই বেশ আয়েশী ভঙ্গিতে বসে আছেন। উনার সাথে কুশলাদি বিনিময় করলাম। ফ্রেশ হয়ে এসে উনার সাথে আলাপে বসলাম। আলাপের এক পর্যায়ে ভাইজান বললেন ‘তোমার জন্য একটা সুসংবাদ আছে’।

আমি বেশ কৌতুহলী হয়ে বললাম তাড়াতাড়ি বলুন প্লিজ। উনি জানালেন আমি গ্রামীন শিক্ষার ব্যবস্থাপনায় ‘গ্রীন চিলড্রেন বৃত্তি’ পেয়েছি। খুব ভাগ্যবান মনে হল নিজেকে।

Image

অতঃপর মানিক ভাইয়ের বিশ্লেষণী থেকে বুঝলাম উনার এবং সাইফুল ভাইয়ের অবদান সত্যিই অপরিসীম।

আম্মাজানকে খুশির খবরটা জানালাম। খুব আনন্দিত হলেন। আব্বুকে ফোনে জানানো হলো; আব্বুও অনেক খুশি হলেন।

আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বৃত্তিদাতা ‘গ্রীন চিলড্রেন’ এবং ব্যবস্থাপনায় ‘গ্রামীন শিক্ষা’কে। এবং অবশ্যই পরম কৃতজ্ঞতা আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের প্রতি।